মোটিভেশন:

মোটিভেশন হতে পারে আপনার ভবিষ্যতের টার্নিং পয়েন্ট যার বাংলারূপ “প্রেরণা” । যখন আমরা কোনো বিখ্যাত ব্যক্তিত্বের দিকে তাকাই, দেখি তাদের সাফল্যের পেছনে রয়েছে অনেক গল্প, অনেক শ্রম, অনেক ত্যাগ। তারা কীভাবে সেই সফলতা অর্জন করলেন? কিংবা বিখ্যাত হওয়ার মতো কষ্টসাধ্য কাজটি করলেন কেন? কী এমন একটি শক্তি বা প্রত্যাশা তাদের বাধ্য করেছিল এগিয়ে যেতে?
আমাদের প্রত্যেকের ভিতরেই লুকিয়ে আছে একটি অদৃশ্য শক্তি, যা আমাদের স্বপ্নের পথে চালিত করে। এই শক্তিটিই হলো “মোটিভেশন” বা “প্রেরণা”। কখনো এটি আসে নিজের লক্ষ্য ও স্বপ্ন থেকে, কখনো প্রিয় মানুষের উৎসাহ থেকে, আবার কখনো প্রতিকূলতাকে জয় করার দুর্দমনীয় মানসিকতা থেকে। প্রতিদিন নিজেকে একটু একটু করে মোটিভেট করতে পারলেই বড় লক্ষ্যগুলোও অর্জনযোগ্য হয়ে ওঠে। ইতিবাচক চিন্তা, পরিষ্কার উদ্দেশ্য এবং ছোট ছোট সাফল্যকে উদযাপন করা—এই তিনটিই হতে পারে এক অদম্য প্রেরণার উৎস। আজকের ব্লগে মোটিভেশন নিয়ে আলাপ করবো। মোটিভেশনাল মুলক আরো কিছু জানতে চাইলে ভিজিট করুন।
মোটিভেশন কীভাবে মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলে।
আপনার জীবনে যত বড় চ্যালেঞ্জিই আসুক না কেন, আপনি যদি কারো কাছ থেকে প্রেরণা পান তাহলে তা সহজেই মোকাবেলা করতে পারবেন। মোটিভেশন বা প্রেরণা মানুষের জীবনে একটি চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে। এটি মানুষকে লক্ষ্য নির্ধারণে সহায়তা করে এবং সেই লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যম ও মনোবল জোগায়। একটি মোটিভেটেড মন সহজেই যে কোন কিছু মোকাবিলা করতে পারে। প্রেরণা মানুষকে আলসেমি ও আত্মসমর্পণের মনোভাব থেকে মুক্ত করে, তাকে কর্মঠ, আত্মবিশ্বাসী এবং লক্ষ্যনিষ্ঠ করে তোলে। অনেক সময় মানুষ হেরে যাওয়ার অবস্থায় থেকেও শুধুমাত্র প্রেরণার জোরে ঘুরে দাঁড়ায় এবং নতুনভাবে শুরু করে।
মোটিভেশন মানুষ গ্রোথ মাইন্ডসেট হিসাবে তৈরি করে। মানসিক দৃঢ়তা বাড়ায়, নিজের প্রতি বিশ্বাস তৈরি করে এবং দীর্ঘমেয়াদি সাফল্যের পথে স্থায়ী প্রভাব ফেলে।
উদহারন: চলচ্চিত্র নির্মাতা ক্রিস্টোফার রিভ (Christopher Reeve) যিনি সুপারম্যান হিসাবে খ্যাত তিনি একটি দুর্ঘটনায় সম্পূর্ণভাবে পক্ষাঘাতগ্রস্ত হন। কিন্তু তিনি চিকিৎসা, অনুশীলন ও মনোবলের মাধ্যমে নিজের ক্ষমতার সীমাকে অতিক্রম করেন।
মানুষকে কেন মোটিভেটেড করা দরকার?
মোটিভেশন মানুষের জীবনে জ্বালানির মতো কাজ করে। কোনো মানুষ যখন হতাশ, লক্ষ্যহীন বা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে, তখন তাকে পুনরায় সক্রিয় করে তুলতে প্রেরণাই প্রধান হাতিয়ার। আমার চাকরি জীবনে এমন একটি অভিজ্ঞতা হয়েছিল—একজন যুবক সহকারী হিসেবে কাজে যোগ দিয়েছিল, কিন্তু সে আগের রাজনৈতিক জীবনের স্বাধীনতা ও উচ্ছলতার কারণে চাকরির নিয়ম-কানুন মেনে নিতে পারছিল না। ধীরে ধীরে তার অনুপস্থিতি বাড়ে এবং সে চাকরি হারানোর মুখে পড়ে। আমি তাকে সময় দিই, মনোযোগ দিয়ে কথা বলি এবং যেসব কাজে সে আগ্রহী ছিল, সে কাজেই নিয়োজিত করি। ফলাফল—সে এখন প্রতিষ্ঠানের একজন অন্যতম সেরা কর্মী। এই উদাহরণ প্রমাণ করে, সময়মতো প্রেরণা পেলে একজন পথভ্রষ্ট মানুষও নিজের শক্তি খুঁজে পেতে পারে এবং সফলতার পথে ফিরে আসতে পারে। তাই মানুষকে মোটিভেট করা অপরিহার্য।
মোটিভেশনের মূল বিষয় কী?
মনে করুন, মেসির খেলা আপনার ভালো লাগে এবং সে কিভাবে খেলে সে দিকগুলো পছন্দ করেন। আপনিও একদিন মেসির মত ফুটবলার হতে চান এই উদ্দেশ্য ও অন্তর্নিহিত অনুপ্রেরণাই হলো মোটিভেশনের মূল বিষয়। এটি এমন একটি মানসিক শক্তি, যা মানুষকে কোনো লক্ষ্য অর্জনের পথে অগ্রসর হতে উদ্বুদ্ধ করে। মোটিভেশন আমাদের চিন্তা, অনুভূতি ও আচরণকে প্রভাবিত করে। এটি দুই ধরনের হতে পারে—অন্তঃস্থ (intrinsic) ও বহিঃস্থ (extrinsic)। অন্তঃস্থ মোটিভেশন আসে নিজের আগ্রহ, আনন্দ বা ব্যক্তিগত মানসিক তৃপ্তি থেকে; যেমন নতুন কিছু শেখার আগ্রহ এবং অন্যদিকে, বহিঃস্থ মোটিভেশন আসে বাহ্যিক পুরস্কার বা স্বীকৃতির আশায়। । সঠিক মোটিভেশন থাকলে কঠিন কাজও সহজ মনে হয় এবং ব্যর্থতা মানুষকে ভেঙে না দিয়ে শেখার সুযোগ করে দেয়। চারটি উপাদান আত্মবিশ্বাস, লক্ষ্য নির্ধারণ, ইতিবাচক মনোভাব ও দৃঢ় ইচ্ছাশক্তি মোটিভেশনকে দৃঢ় করে তোলে।
মোটিভেশনের জন্য সবচেয়ে ভালো জিনিস কী?
মোটিভেশনের জন্য সবচেয়ে ভালো জিনিস হলো লক্ষ স্থির করা। তারপর লক্ষ্যের দিকে মাইন্ডসেট করা এবং নিরলস পরিশ্রম করা। আপনাকে একটি স্পষ্ট ও ব্যক্তিগত লক্ষ্য স্থির করতে হবে। কারন আপনাকে জানতে হবে কেন কাজটি করছেন এবং তার পেছনে কী উদ্দেশ্য। ফারুক নামে আমার এক আত্নিয় তার স্বপ্নছিলো একজন সফল ব্যবাসায়ী হবেন। এ নিয়ে বেশ কয়েকটা ব্যবসাও করেছিলেন এবং সবগুলোই লস করেছেন কিন্তু হাল ছাড়েন নি। পরে অনলাইনে বিভিন্ন পন্য বিক্রি শুরু করেন শুরুটা তেমন ভালো ছিলো না কিন্তু আজ ঠিকই সে একজন সফল ব্যবসায়ী। রাজশাহী থেকে আম, যশোর বা ফরিদপুর থেকে গুড় এনে ব্যবসা করা ছেলেটি আজ নিজেই একজন সফল ব্যবসায়ী । মাদ্রাসায় চাকরির পাশাপাশি ছোট ব্যবসা শুরু করতে এবং ধৈর্য ধরে এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করেছিল।
এই উদাহরণে দেখা যায়, ফারুক ব্যক্তিগত লক্ষ্যই ছিল তার সবচেয়ে বড় মোটিভেশন। তাই সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকলে, তা মানুষকে আত্মপ্রাণিত করে তুলতে পারে এবং যেকোনো প্রতিকূলতা জয় করতে সাহায্য করে।
তরুণদের জন্য প্রেরণামূলক প্রশ্নগুলি কী কী?
তুষার নামে এক তরুন, যার কোন ভবিষ্যত লক্ষ্য ছিলো না এবং লক্ষ্য স্থির করার মত কেউই ছিলো না। সে কী করবে জীবনে এমন প্রশ্ন করলে সে নিরুত্তরই থাকতো। পরে তার জীবনে আসে তার ফুফাতো ভাই। সে জানতে চায় তুমি এমন কী করতে চাও, যাতে তোমার জীবনের অর্থ তৈরি হয়?” এই প্রশ্ন তুষার কে গভীরভাবে ভাবায়, এবং সে আবিষ্কার করে তার প্রকৃত আগ্রহ ভিডিও এডিটিং । বর্তমানে সে এটাই পেশা হিসেবে নেয় এবং বর্তমানে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার। আমি মনে করি তরুণদের প্রেরণা জাগাতে কিছু গভীর ও চিন্তামূলক প্রশ্ন অসাধারণভাবে কাজ করে। এ ধরনের প্রশ্ন তাদের স্বপ্ন, লক্ষ্য ও আত্মবিশ্বাস জাগিয়ে তোলে। যেমন
তুমি আসলে কী হতে চাও?
পাঁচ বছর পর নিজেকে কোথায় দেখতে চাও?
তোমার কোন কাজটা করতে ভালো লাগে, সময়ের হিসাব না রেখেই?
কোন জিনিসটা তোমাকে প্রতিদিন একটু ভালো মানুষ হতে অনুপ্রাণিত করে?
তুমি কী এমন কিছু করতে পারো, যা সমাজে পরিবর্তন আনতে পারে?
জীবনে সাফল্য পেতে হলে নিজেকে মোটিভেট রাখা অপরিহার্য।
সম্প্রতি ফরিদপুরের প্রান্তি বিশ্বাস নামে এক দিনমুজুরে কন্যা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পান । তার মা মুড়ি ভেজে বাজারের দোকানে বিক্রি করতেন। কিন্তু জীবনের সকল বাধা অতিক্রম করে সে তার লক্ষ্যে পোৗছেন। ছোটবেলা থেকেই সে ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। কিন্তু ইঞ্জিনিয়ারিং এ ভর্তি পরীক্ষার জন্য কোন কোচিং না পড়তে পেরে শেষটায় নিজেই চেষ্টা করেন। আর্থিক সমস্যা এবং পরিবারের অনিচ্ছা তাকে বারবার থামিয়ে দিতে চেয়েছিল। তবুও তিনি প্রতিদিন কঠোর পরিশ্রম করে লেখাপড়া করতেন। লেখাপড়ার প্রতি ভালোবাসা আর নিজেকে প্রমাণ করার তীব্র ইচ্ছাই তাকে চালিয়ে নিয়েছে। অবশেষে সুযোগ আসে মেডিক্যাল ভর্তি হওয়ার ।
প্রান্তি বিশ্বাসের এই গল্প থেকে বোঝা যায়, বাইরে যত প্রতিকূলতাই থাকুক না কেন, নিজের মধ্যে যদি মোটিভেশন বজায় রাখা যায়, তাহলে সফলতা শুধু সময়ের ব্যাপার। আত্ম-অনুপ্রেরণা জীবনের যেকোনো সংগ্রামকে জয় করার শক্তি দেয়।
শরীরের সীমাবদ্ধতা নয়, বরং মন ও দৃষ্টিভঙ্গিই জীবনের সত্যিকারের শক্তি।
নিক ভুইচিচ (Nick Vujicic): মোটিভেশনের এক জীবন্ত কিংবদন্তি । ১৯৮২ সালে, অস্ট্রেলিয়ায়, বিরল এক শারীরিক অবস্থা নিয়ে তার জন্ম থেকেই দুই হাত ও পা নেই। ছোটবেলায় তিনি অবহেলা, হতাশা এবং আত্মহত্যার চিনায় ভুগেছেন। কিন্তু একসময় তিনি বুঝতে পারেন, তার জীবনের সীমাবদ্ধতা তার মনের শক্তিকে থামাতে পারে না। নিজেকে তিনি নতুনভাবে গড়ে তোলেন, শিখে ফেলেন নিজের শরীরকে কীভাবে কাজে লাগানো যায়—তাঁর একটি ছোট্ট “পা” দিয়ে তিনি টাইপ করতে, সাঁতার কাটতে, এমনকি ফুটবল খেলতেও পারেন। পরবর্তীতে তিনি একজন বিশ্ববিখ্যাত মোটিভেশনাল স্পিকার হন, বক্তৃতা দিয়েছেন ৭০টিরও বেশি দেশে। নিক বলেন: “If you can’t get a miracle, become one.”
মোটিভেশন মানে হলো বিশ্বাস রেখে লড়াই করে যাওয়া, যত কঠিনই হোক পথ।
নেলসন ম্যান্ডেলা দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেতা এবং বিশ্বের অন্যতম প্রেরণাদায়ী ব্যক্তিত্ব। তিনি জন্মগ্রহণ করেন ১৯১৮ সালে, একটি বর্ণবাদী সমাজে, যেখানে শ্বেতাঙ্গ ও কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে চরম বৈষম্য ছিল। তিনি শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ শুরু করেন এবং “আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেস” দলের নেতা হিসেবে বর্ণবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন। এই লড়াইয়ের কারণে তাকে ২৭ বছর কারাবন্দি করে রাখা হয়। কিন্তু সেই দীর্ঘ সময়েও তিনি সাহস হারাননি বা ঘৃণা পোষণ করেননি। বরং, তিনি নিজেকে মানসিকভাবে শক্তিশালী করে তুলেছিলেন। মুক্তির পর তিনি ক্ষমাশীলতা ও ঐক্যের বার্তা দিয়ে দেশের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট হন।
ম্যান্ডেলা বলেন:
“It always seems impossible until it’s done.”
তার জীবনের শিক্ষা—সহিষ্ণুতা, ক্ষমাশীলতা এবং অটল মানসিক শক্তি দিয়েই সবচেয়ে বড় পরিবর্তন আনা সম্ভব।
দারিদ্র্য থেকে শীর্ষে ওঠার মোটিভেডের অন্যতম সফল নায়ক।
আমরা অনেকে অপরা উইনফ্রে এর নাম শুনেছি । পুরো নাম অপরাহ গেইল উইনফ্রে একজন জনপ্রিয় মার্কিন টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব। তিনি জন্মগ্রহণ করেন ১৯৫৪ সালে, আমেরিকার মিসিসিপিতে। ছোটবেলায় তিনি শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হন, কিশোর বয়সেই মা হন এবং অনেক দুঃখ-কষ্টের মধ্য দিয়ে বেড়ে ওঠেন। আজ বিশ্বের অন্যতম সফল টিভি ব্যক্তিত্ব ও উদ্যোক্তা, কিন্তু তার জীবন শুরু হয়েছিল চরম দারিদ্র্য ও সংগ্রামের মধ্য দিয়ে। তবে তিনি কখনো হাল ছাড়েননি। পড়াশোনায় ভালো ফল করে ধাপে ধাপে মিডিয়ায় প্রবেশ করেন। অবশেষে “The Oprah Winfrey Show” দিয়ে তিনি পুরো বিশ্বের মন জয় করে নেন। তার আত্মবিশ্বাস, স্পষ্টভাষিতা ও সহানুভূতি মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছে।
অপরা বলেন:
“Turn your wounds into wisdom.”
তার জীবন আমাদের শেখায়, যত বাধাই আসুক, যদি ইচ্ছাশক্তি, পরিশ্রম ও আত্মবিশ্বাস থাকে, তাহলে দারিদ্র্য বা অতীত কোনো কিছুই সফলতার পথে বাধা হতে পারে না।
অসম্ভবকে সম্ভব করার দৃষ্টান্ত
আত্মবিশ্বাস, কঠোর পরিশ্রম ও দূরদৃষ্টি থাকলে অসম্ভবকেও সম্ভব করা যায়। যার জ্বলন্ত উদহারণ হলেন এলন মাস্ক । আধুনিক বিশ্বের অন্যতম উদ্ভাবক ও উদ্যোক্তা, যিনি প্রযুক্তির মাধ্যমে ভবিষ্যত গড়ার স্বপ্ন দেখেন এবং তা বাস্তবায়ন করেন। তিনি জন্মগ্রহণ করেন ১৯৭১ সালে, দক্ষিণ আফ্রিকায়। ছোটবেলা থেকেই তিনি ছিলেন অন্তর্মুখী এবং প্রযুক্তিপ্রেমী। ১২ বছর বয়সেই একটি ভিডিও গেম তৈরি করে বিক্রি করেন।
তিনি আমেরিকায় এসে Zip2, PayPal, তারপর Tesla, SpaceX, Neuralink, ও The Boring Company প্রতিষ্ঠা করেন। বহুবার ব্যর্থ হয়েছেন, আর্থিক সংকটে পড়েছেন, কিন্তু নিজের ভিশনের প্রতি অবিচল থেকেছেন।
মাস্ক বলেন:
“When something is important enough, you do it even if the odds are not in your favor.”
তার জীবন আমাদের শেখায়—ঝুঁকি নিতে ভয় পাবো না, ব্যর্থতা মানেই থেমে যাওয়া নয়। এলন মাস্ক তাই আজকের প্রজন্মের অন্যতম বড় অনুপ্রেরণা।
উপসংহার:
মোটিভেশন বা প্রেরণা আপনার অন্তর্নিহিত শক্তিকে জাগিয়ে তুলবে, যেটি আপনার অন্ধকার সময়েও আলো খুঁজে নিতে সাহায্য করে। জীবনে যেকোনো সাফল্যের পেছনে থাকে একটি অন্তর্জাগতিক আগুন—যেটি জ্বলিয়ে রাখে স্বপ্ন, বিশ্বাস এবং কর্মের ধারাবাহিকতা। প্রতিদিন নিজেকে নতুনভাবে গড়তে চাইলে চাই ছোট ছোট প্রেরণাদায়ী মুহূর্ত—হোক তা একটি উক্তি, একজন অনুপ্রেরণাদায়ক ব্যক্তিত্ব, কিংবা নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে শেখা কোনো মূল্যবান শিক্ষা। যারা নিজেদের সীমাবদ্ধতাকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যেতে পেরেছেন, তারা দেখিয়ে দিয়েছেন—প্রেরণা থাকলে পথের বাধা আর পথচলার অন্তরায় নয়। তাই আমাদের উচিত নিজের ভেতরের আগুনকে টিকিয়ে রাখা, এবং অন্যদের মাঝেও সেই আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া। মনে রাখতে হবে, প্রেরণার প্রকৃত উৎস বাহ্যিক নয়, বরং এটি আমাদের মনের গভীরে লুকিয়ে থাকা এক নিরন্তর শক্তি। এই শক্তিকে ধারণ করলেই আমরা জীবনকে জয় করতে পারি।
লেখক :আবদুল আজিজ
কন্টেন্ট রাইটার
Excellent information!!